
নিউজ ডেস্ক: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) রাজনীতি নিষিদ্ধের আদেশ বহাল রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। পাশাপাশি সংঘর্ষের ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। যদিও এসব বিষয়ে সিন্ডিকেটের কোনো সদস্য আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানাননি।
এছাড়াও সিন্ডিকেটের সভায় আরও বেশকিছু সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে, ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিত, জড়িত শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার, বহিরাগতদের বিরুদ্ধে মামলা, আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহন ও শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার দায়িত্ব গ্রহণ ইত্যাদি।
তবে ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সব একাডেমিক কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্তকে প্রত্যাখান করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। বুধবার বিকেলে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালককে বর্জনের ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সিন্ডিকেট সভার পর ৬ দফা দাবির মধ্যে প্রথম ৫ দফা দাবি আংশিকভাবে মেনে নেয়া হবে বলে আশ্বস্ত করা হয়েছে, তবে বাস্তবায়ন করা হয়নি। বারবার চেষ্টা করে ব্যর্থ হওয়ায় সাধারণ শিক্ষার্থীরা কুয়েটের উপাচার্য, উপ-উপাচার্য ও ছাত্র কল্যাণ পরিচালককে বর্জন করবে। এখন থেকে এই তিন পদে কেউ নেই বলেও জানান তারা।
এর আগে, ছাত্র রাজনীতি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করাসহ ৬ দফা দাবি মেনে নিতে বুধবার বেলা ১টা পর্যন্ত আল্টিমেটাম দেয় শিক্ষার্থীরা। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দাবি পূরণ না হলে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রাখারও ঘোষণা দেন তারা। একপর্যায়ে দুপুর একটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
এদিকে, গতকালের সংঘর্ষের ঘটনায় এরইমধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
প্রসঙ্গত, গতকাল (১৮ ফেব্রুয়ারি) ছাত্র রাজনীতিকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে খুলনা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন। এজন্য ছাত্রদলকে দায়ী করেছে ‘সাধারণ শিক্ষার্থীরা’। তবে ছাত্রদল পাল্টা দায়ী করেছে ছাত্রশিবির ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগকে।
Array