• ঢাকা, বাংলাদেশ

বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন করে ২৭২ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা কানাডার 

 admin 
10th Mar 2025 12:36 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

 আন্তর্জাতিক ডেস্ক:বাংলাদেশসহ ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে নতুন করে ২৭২ দশমিক ১ মিলিয়ন ডলারের সহায়তা ঘোষণা করেছে কানাডা। রোববার (৯ মার্চ) দেশটির আন্তর্জাতিক উন্নয়নমন্ত্রী আহমেদ হুসেন এই অর্থায়নের ঘোষণা দেন। কানাডাভিত্তিক গণমাধ্যম গ্লোবাল নিউজের এক প্রতিবেদনে জানানো হয় এ তথ্য।

এক বিবৃতিতে আহমেদ হুসেন বলেন, বাংলাদেশ ও বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে আমাদের দীর্ঘদিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আরও দৃঢ়ভাবে শক্তিশালী করছে। ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর স্বাস্থ্যসেবা, নারীর ক্ষমতায়ন এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সহায়তা প্রদান করে আমরা বৈশ্বিক সম্প্রদায়ের জন্য একটি উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ে তুলছি।

অন্যান্য বিদেশি অংশীদার ও দাতাদের অর্থায়নের পাশাপাশি এই তহবিল বাংলাদেশ এবং ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশে ১৪টি বিভিন্ন প্রকল্পে ব্যয় করা হবে। এই পদক্ষেপের মাধ্যমে কানাডার ফেডারেল লিবারেল সরকার বৈদেশিক উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সরকারের তুলনায় সম্পূর্ণ ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করেছে। ট্রাম্প প্রশাসন ক্ষমতা গ্রহণের পর মার্কিন আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ইউএসএআইডির মাধ্যমে বৈদেশিক সহায়তা প্রদান বন্ধ করে দেয়।

ক্ষমতা গ্রহণের পর ট্রাম্প ও তার নতুন প্রশাসনিক দক্ষতা বিষয়ক বিভাগের প্রধান ইলন মাস্ক, ৯০ দিনের জন্য মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কার্যক্রম স্থগিত করেন। যার ফলে বিশ্বব্যাপী অনেকগুলো সহায়তা কর্মসূচি বন্ধ হয়ে যায় এবং সরকারি সংস্থা ও তাদের ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানে কর্মরত হাজার হাজার কর্মচারী ছাঁটাই বা বাধ্যতামূলক ছুটির মুখে পড়েন।

ট্রাম্প এবং তার প্রশাসনে নিয়োগপ্রাপ্তরা বৈদেশিক সহায়তাকে মার্কিন করদাতাদের অর্থের অপচয় হিসেবে বিবেচনা করেন এবং দাবি করেন, এসব সহায়তা উদারনৈতিক রাজনৈতিক এজেন্ডাকে সমর্থন করে। অন্যদিকে, সমালোচকদের মতে, এ ধরনের ব্যয় যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক অবস্থানকে শক্তিশালী করে এবং অন্যান্য দেশের বৈদেশিক হস্তক্ষেপ প্রতিহত করতে সহায়তা করে।

মার্কিন বৈদেশিক সহায়তা কর্মী ও সমর্থকেরা আদালতে ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ জানিয়েছেন, দাবি করে, প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের অনুমোদিত একটি ফেডারেল সংস্থাকে কার্যত বন্ধ করে দিয়ে তার আইনি ও সাংবিধানিক ক্ষমতার সীমা অতিক্রম করেছেন।

কানাডা যে প্রকল্পগুলোকে সহায়তা দিচ্ছে, তার মধ্যে—লিঙ্গ সমতা, নারীদের ও কিশোরীদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্য অধিকার, পাশাপাশি অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ও দক্ষতা প্রশিক্ষণের সুযোগ বৃদ্ধি করা অন্যতম। এ ছাড়া, জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় জনগোষ্ঠীর সক্ষমতা বৃদ্ধি, নাগরিক সম্পৃক্ততা জোরদার এবং দারিদ্র্য হ্রাসের লক্ষ্যে অন্যান্য প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হবে।

কানাডার সরকার জানিয়েছে, নার্সিং খাতে নারীর ক্ষমতায়ন’ নামে একটি প্রকল্পের জন্য তিন বছরে ৬৩ লাখ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। কানাডীয় প্রতিষ্ঠান কোওয়াটার ইন্টারন্যাশনালের মাধ্যমে এই প্রকল্প বাস্তবায়িত হবে।

এই সহায়তা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেন আহমেদ হুসেন ও ব্রিটিশ কলাম্বিয়ার লিবারেল পার্লামেন্ট সদস্য পারম বেইন্স। ভ্যানকুভারে অনুষ্ঠিত এ ঘোষণার অনুষ্ঠানে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতারা উপস্থিত ছিলেন। এই ঘোষণাটি এমন এক সময়ে এল, যখন লিবারেল সরকার বসন্তকালে নতুন নেতৃত্বে জাতীয় নির্বাচনের ডাক দিতে পারে। ফেডারেল সরকারের অনুমান অনুযায়ী, বর্তমানে লক্ষাধিক বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত জনগোষ্ঠীর বাস কানাডায়।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১