
নিজস্ব প্রতিবেদক : মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটিকে বাঁচানো যায়নি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১টায় ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) শিশুটির মৃত্যু হয়। হাসপাতালের শিশু বিভাগের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (পিআইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার হৃদস্পন্দন বন্ধ হয়ে যায়।
শিশুটির চিকিৎসা চলাকালীন বৃহস্পতিবার সকালে তিনবার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট (হৃদস্পন্দন বন্ধ) হয়। প্রথম দুইবার তাকে স্থিতিশীল করা গেলেও তৃতীয়বার হৃদস্পন্দন ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়নি। সিএমএইচ-এর সর্বাধুনিক চিকিৎসা ব্যবস্থা এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা সত্ত্বেও তাকে বাঁচানো যায়নি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৫ মার্চ, যখন শিশুটি তার বোনের বাড়ি বেড়াতে যায়। সেখানে গভীর রাতে সে ধর্ষণের শিকার হয়। ঘটনার পর তাকে মাগুরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তার অবস্থার অবনতি ঘটলে তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেও তার অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে গত ৮ মার্চ সংকটাপন্ন অবস্থায় তাকে ঢাকা সিএমএইচ-এ স্থানান্তর করা হয়।
ধর্ষণের ঘটনায় শিশুটির মা চারজনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে, যাদের মধ্যে রয়েছেন শিশুটির ভগ্নিপতি সজিব (১৮), সজিবের ভাই রাতুল (১৭), তাদের বাবা হিটু মিয়া (৪২) এবং মা জাবেদা বেগম (৪০)।
বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে শিশুটির মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে। এক বিবৃতিতে তারা শিশুটির শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানায় এবং তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে।
এই মর্মান্তিক ঘটনা সমাজে নারীর প্রতি সহিংসতা ও শিশু নির্যাতনের ভয়াবহতা আবারও উন্মোচিত করেছে। শিশুটির মৃত্যু সকলের মনে গভীর ক্ষত সৃষ্টি করেছে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করার দাবি জোরালো হয়েছে।