• ঢাকা, বাংলাদেশ

মিয়ানমারে ফেসবুকের পর এবার টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ 

 admin 
06th Feb 2021 2:08 pm  |  অনলাইন সংস্করণ
মিয়ানমারে ফেসবুকের পর এবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটার ও ইনস্টাগ্রামও বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জান্তা সরকার। দেশটিতে প্রধান ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিনর বলেছে, পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ইনস্টাগ্রাম ও টুইটার বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিবিসির আজ শনিবারের খবরে এ তথ্য জানা গেছে। গত বৃহস্পতিবার জান্তা সরকার দেশের স্থিতিশীলতার কথা বলে ফেসবুক বন্ধ করে দেয়।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদে ও দেশটির নেত্রী অং সান সু চিসহ বন্দী নেতাদের মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভের প্রচার ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে বেশি হয়েছে।
মিয়ানমারে ফেসবুক মানুষের খবর পাওয়ার প্রধান উৎস হিসেবে কাজ করে। সেনা অভ্যুত্থান ও বিক্ষোভের নানা খবর ফেসবুকে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। ফেসবুক বন্ধের পরে টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে কয়েক হাজার ব্যবহারকারী সক্রিয় হন। তাঁরা সেনা অভ্যুত্থানের প্রতিবাদ জানাতে হ্যাশট্যাগ ব্যবহার শুরু করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে টুইটার ও ইনস্টাগ্রামও বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ আসে।
সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো বক্তব্য দেওয়া হয়নি। এএফপির খবর বলছে, তাদের কাছে মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া যাচাই করা হয়নি এমন নথিপত্র রয়েছে। তাতে বলা আছে, দুটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমই জনগণকে ভুলপথে নিয়ে যাচ্ছিল।
নরওয়ের টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিনর জান্তা সরকারের এই পদক্ষেপে গভীর উদ্বেগ জানিয়েছে। টেলিনর বলছে, টুইটার ও ইনস্টাগ্রাম বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা আন্তর্জাতিক মানবাধিকার আইনের পরিপন্থী।
রয়টার্সের খবরে জানা যায়, টুইটারের মুখপাত্র বলেছেন, জান্তা সরকারের এমন নির্দেশনায় জনগণের মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘিত হবে।
ফেসবুক মিয়ানমার সরকারের প্রতি যোগাযোগ সচল করতে আহ্বান জানিয়েছে। ফেসবুক কর্তৃপক্ষ বলেছে, এতে মানুষ পরিবার, বন্ধুর সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবে। গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানতে পারবে।
মিয়ানমারে সেনা অভ্যুত্থানের পর থেকে দেশটিতে ধীরে ধীরে জোরদার হচ্ছে বিক্ষোভ। এর আগে একটি অনলাইন প্রচারণার ভিত্তিতে থালাবাটি, ঢোল বাজিয়ে ইয়াঙ্গুন শহরবাসী দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চিসহ শীর্ষ নেতাদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ জানান। এরপর দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা ধর্মঘটের ডাক দেন। সর্বশেষ গতকাল বিক্ষোভ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
গতকাল ইয়াঙ্গুনের দাগন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় ২০০ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী বিক্ষোভে অংশ নেন। রাজধানী নেপিডোয় বিক্ষোভ করেছেন সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
এদিকে সু চির রাজনৈতিক দল এনএলডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, তাঁরা জানতে পেরেছেন সু চি ভালো আছেন। তিনি গৃহবন্দী রয়েছেন। এই বন্দিদশা থেকে সু চির মুক্তির দাবি জানিয়েছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ। আর যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, সামরিক জান্তা সরকারের উচিত পদত্যাগ করা।
গত সোমবার মিয়ানমারে অভ্যুত্থান করে দেশটির সেনাবাহিনী। সু চির নেতৃত্বাধীন এনএলডির নির্বাচিত সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করেছে তারা। সেনা কর্তৃপক্ষ দেশটিতে এক বছরের জন্য জরুরি অবস্থা জারি করেছে। সু চির বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। এসব অভিযোগে ১৫ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত রিমান্ডে থাকবেন সু চি। অবৈধভাবে আমদানি করা ওয়াকিটকি রাখার অভিযোগে করা মামলায় সু চির দুই বছরের কারাদণ্ড হতে পারে।
Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১