
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৫ সেপ্টেম্বর- ২০২২ইং : গণমাধ্যম কর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেছেন, সংগঠন বিরোধী কর্মকান্ডের জন্যই মসিউর রহমান রাঙ্গা এমপি কে দলের পদ-পদবী থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। তিনি বলেন, গেলো এক বছর ধরে গণমাধ্যম, সংসদ ও বিভিন্ন ফোরামে মসিউর রহমান রাঙা সংগঠনের নীতি ও অবস্থান বিরোধী কথা বলছিলেন। গেলো এক মাস আগেও এমন একটি অবস্থার প্রেক্ষিতে জাতীয় পাটি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মসিউর রহমান রাঙা। তখন সংগঠন বিরোধী কোন কাজ করবেন না বলেও অঙ্গীকার করেছিলেন তিনি। তবে, মসিউর রহমান রাঙার প্রতি পার্টির সিদ্ধান্ত গঠনতন্ত্র ও বিধি মোতাবেক হয়েছে।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের চাহিদার কারণে আজ বিকেলে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান এর বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে গণমাধ্যম কর্মীদের প্রশ্নের জবাবে খোলামেলা উত্তর দেন জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি।
সাংবাদিকদের অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, প্রায় এক বছর ধরে বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ এমপি বিদেশে চিকিৎসাধীন। এছাড়া তিনি হঠাৎ করে নভেম্বরে একটি কাউন্সিল ঘোষণা করেছেন। তিনি আহবায়ক হয়ে জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যানবৃন্দদের যুগ্ম আহবায়ক করা হয়েছে। অথচ, আমরা কেউই এ বিষয়ে কিছুই জানিনা। আবার যাকে সদস্য সচিব করা হয়েছে তিনি জাতীয় পার্টির প্রাথমিক সদস্যও নয়। আবার বিরোধীদলীয় নেতার অনুপস্থিতিতে সংসদের অনেক কাজ ব্যহত হচ্ছে। অপরদিকে, কাউন্সিল আহবানের এখতিয়ার বেগম রওশন এরশাদের নেই। তার সাথে কথা হয়েছিলো, আমরা তাকে পরের দিন কাউন্সিল আহবানের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করতে আহবান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তিনি এখতিয়ার বর্হিভূত কাউন্সিল আহবানের বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করেননি। তাই সংসদীয় দলের সভায় জাতীয় পার্টির ২৬ জন সংসদ সদস্যের মধ্যে ২৪জনই এই সিদ্ধান্তের সাথে একমত। ২৩ জন উপস্থিত থেকে বিরোধীদলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের কে বিরোধীদলীয় নেতা করার সিদ্ধান্তে স্বাক্ষর করেছেন। আর অপর একজন সংসদ সদস্য বিদেশ থেকে ফেরার কারণে ফোন করে তার সম্মতির কথা জানিয়েছেন। সেই চিঠি চিফ হুইপ মসিউর রহমান রাঙার স্বাক্ষরে স্পিকারের কাছে পৌছে দেয়া হয়েছে।
সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নে জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যদি জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান চান তবেই মসিউর রহমান রাঙা জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে ফিরতে পারবেন। কারণ, কাউকে পার্টিতে ফেরানোর এখতিয়ার শুধুমাত্র জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের। এসময় তিনি বলেন, কেউ দল থেকে চলে যেতে পারে তাতে দলের কোন ক্ষতি হয় না। অনেকেই চলে গেছেন কিন্তু জাতীয় পার্টি তার স্থানেই আছে। জাতীয় পার্টি কেউ ভাঙতে পারবে না। জাতীয় পার্টি এখন অনেক শক্তিশালী এবং ঐক্যবদ্ধ। তিনি বলেন, এখন গঠনতন্ত্রের বিশ ধারার সমালোচনা করছেন মসিউর রহমান রাঙা, কিন্তু যখন মহাসচিব ছিলো তখনতো এই ধারার কথা কখনোই বলেননি তিনি।
এসময় জাতীয় পার্টি মহাসচিব মোঃ মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, যখন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান জিএম কাদের জাতীয় পার্টির রাজনীতি পরিস্কার করছেন। যখন জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান বলছেন, আমরা এখন আর কোন জোটে নেই, জাতীয় পার্টি কারো দালালী করবে না। তখন হয়তো কারো কারো কষ্ট হতে পারে। যারা দালালী করতে চায় তারা কখনোই সফল হবে না।
তিনি বলেন, দুর্নীতি ও দুঃশাসনের কারণে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির রাজনীতি থেকে দেশের মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। দেশের মানুষ জাতীয় পার্টিকে রাষ্ট্র ক্ষমতায় দেখতে চায়। অপর এক প্রশ্নের জবাবে জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, জাতীয় পার্টির সংসদীয় দলের সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে স্পিকারকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন গণমাধ্যমের কাছে ¯িপকার নিজেই বলেছেন, তিনি বিধিমোতাবেক সিদ্ধান্ত নেবেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, ফখরুল ইমাম এমপি, আলহাজ্ব সফিকুল ইসলাম সেন্টু, এডভোকেট মোঃ রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান আহসান আদেলুর রহমান এমপি, শফিকুল ইসলাম শফিকুল, ইয়াহ ইয়া চৌধুরী, এইচ শাহরিয়ার আসিফ, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, মোঃ জসীম উদ্দিন ভূঁইয়া, যুগ্ম মহাসচিব মোঃ বেলাল হোসেন, আব্দুল হামিদ ভাসানী, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ হেলাল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন তোতা, শাহজাহান মানসুর, কাজী আবুল খায়ের, সুমন আশরাফ, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য এম এ রাজ্জাক খান, গোলাম মোস্তফা, এস এম আল জুবায়ের, মিজানুর রহমান মিরু, যুগ্ম সম্পাদকমন্ডলী নজরুল ইসলাম, আজহারুল ইসলাম সরকার, মাহমুদ আলম, সমরেশ মন্ডল মানিক, দ্বীন ইসলাম শেখ, মীর সামছুল আলম লিপটন, ডা. মোহাম্মদ আব্দুল আল ফাত্তাহ, খুররম ভূঁইয়া, প্রিন্সিপাল মোস্তফা চৌধুরী, জাহাঙ্গীর আলম, আব্দুস সাত্তার, এ এন এম রফিকুল ইসলাম সেলিম, সরদার নজরুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, মেহেদী হাসান শিপন, এম এ হাসেম, এডভোকে ওহাব, সোলায়মান সামি, ইঞ্জিঃ এলাহান উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ টুলু, জাতীয় ছাত্র সমাজ-এর সভাপতি ইব্রাহীম খাঁন জুয়েল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, সহ-সভাপতি শাহ ইমরান রিপন, অর্ণব চৌধুরী, যুগ্মসাধারণ সম্পাদক জুবায়ের, আল-আমিন।
Array