
খাওয়া দাওয়া মানেই তেল, চর্বি আর মশলাযুক্ত খাবার খাওয়া। এত তেল মশলা খাওয়ার পর বেশ অস্বস্তিও লাগে। শরীরের ওজনের জন্যও ক্ষতির কারণ হতে পারে। শরীরের বাড়তি ওজন ঝরিয়ে ফেলার দিকেই আমাদের ঝোঁক বরাবর বেশি। আর তার জন্য আমরা সবসময় বেশি ক্যালোর বা বেশি ফ্যাটযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিয়ে দিই। কিন্তু এরপর আসে হজমের গোলমাল, এমনকি ওজনও যে সঠিক মাত্রায় কমছে তেমনটাও নয়।
ডায়েট শুরু করার আগে সবসময় পুষ্টিবিদ কিংবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। আর যেকোনো বিশেষজ্ঞই সালাদের উপর বেশ জোর দেন। বিশেষত ব্রেকফাস্ট কিংবা দুপুরের খাবারে পাতে সালাদ রাখার কথা বলা হয়।
যে ঋতুতে যে ফল বা সবজি পাওয়া যায় তার পুষ্টিগুণ কিন্তু অনেক বেশি। আর তাই বিদেশি বা প্যাকেটজাত সবজির দিকে না ঝুঁকে দেশি খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। মৌসুমি ফল, সবজিভালো ভাবে ধুয়ে খান। আর কিছু ফল যদি কাঁচা খেতে পারেন তাহলে শরীর পাবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার। খাদ্যতালিকায় ফাইবার যত থাকবে ততই ভালো। এতে কমবে কোলেস্টেরলের পরিমাণ। এছাড়াও পেট পরিষ্কার থাকবে। তাহলে গ্যাস, অম্বল, বদহজমও থাকবে দূরে। চুল, ত্বক ভালো থাকে। হার্টের সমস্যার সম্ভাবনা কমে।
সালাদের মধ্যে লেটুস, বাঁধাকপি, গাজর, ক্যাপসিকাম, কড়াইশুঁটি. বিট, গাজর, টমেটো, কর্ন এসব থাকেই। আর ফলের মধ্যে আম, বেদানা, কলা, পেয়ারা, পেঁপে, নাশপাতি, কমলা লেবু, স্ট্রবেরি, বাতাবি এসব থাকবেই। এই ফল, সবজির মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শরীরের ডিটক্সিফিকেশন থেকে ক্যানসার প্রতিরোধ সবই সাহায্য করে সালাদ। আর সালাদ খেলে পেট ভরে থাকে, ফলে অন্য খাবারও কম খাওয়া হয়।
ব্রেকফাস্ট আর লাঞ্চের মধ্যে যে সময়টা থাকে ওই সময়টা সালাদ খাওয়ার উপযুক্ত সময়। কারণ ওই সময় সালাদ খেলে পেট ভরা থাকে। ফলে খুব বেশি মশলাদার খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও থাকে না। আর যদি ডিম বা চিকেন সালাদ খান তাহলে লাঞ্চ না করলেও চলে। এতে বেশি প্রোটিনও পাওয়া যায়। সালাদের উপযুক্ত সময় হলো দুপুর বেলা।
বাইরের কাটা ফল, রাস্তার সাজানো সালাদ দেখে লোভ সকলেরই হয়। কিন্তু এই সালাদ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। একেবারেই যাতে না খাওয়া যায় সেই চেষ্টা করুন। এমনকি বড় রেস্তোরাঁ, অরগন্যানিক সালাদ মেনুতে দেখলেও অর্ডার করবেন না। কারণ সালাদ ফ্রেশ খেতে হয়। আগে থেকে বানিয়ে রাখলে স্বাস্থ্যগুণ নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়াও ফল বা সবজি খুব ভালো করে ধুয়ে তবেই কাটতে হয়। অরগ্যানিক সবজি ব্যবহার করার মস্ত অসুবিধে হচ্ছে যে তাতে যেহেতু সারের ব্যবহার হয় না, তাই তার মধ্যে নানা জীবাণু বাসা বাঁধে। তাই খুব ভালো করে ধুয়ে নিয়ে তবেই খাওয়া উচিত। ড্রেসিংয়ের মান নিয়েও খুব নিশ্চিত হয়ে কিছু বলা যায় না। বাড়িতে বানিয়ে সালাদ খাওয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়।
ডিমের স্যালাদ
দ্রুত ওজন কমাতে বানাতে পারেন ডিমের এই স্যালাদ
যা লাগছে
ডিমের সাদা অংশ ( ২টি ডিম)
সবুজ আপেল: ১টা
টমেটো: ২টো
অলিভ অয়েল: ১ চামচ
লবণ: পরিমাণমতো
গোলমরিচ গুঁড়া
যেভাবে বানাবেন
ডিম, আপেল, টমেটো চৌকো করে কেটে নিন। এবার সব উপকরণ একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। লেটুস পাতা দিতে পারেন। সেই সঙ্গে সিজনিং করুন অলিভ অয়েল, লবণ আর গোলমরিচের গুঁড়াতে। প্রতিদিন সকালে একবাটি করে খেলে ওজন কমবেই।
Array