• ঢাকা, বাংলাদেশ

হাঁপানি রোগীর এই সময় জ্বর হলেই বাড়বে বিপদ 

 admin 
19th Jul 2020 12:09 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

বিশ্বব্যাপী করোনাভাইরাসের তাণ্ডব দিনকে দিন বেড়েই চলেছে। এদিকে বর্ষাকালে আবার করোনার মহামারির মধ্যে হতে পারে ডেঙ্গু জ্বর কিংবা ম্যালেরিয়ার কারণে প্রবল জ্বর। তাই এই সময় শুধু জ্বর হলে করোনা ছাড়াও অন্যান্য রোগ হতে পারে।

বর্ষার জমা জলে এডিস ইজিপ্টা মশার বংশ বেড়ে চলেছে। আর মশা কামড়ালে ডেঙ্গুর আশঙ্কা থাকেই।  হাঁপানি, সিওপিডি বা আইএলডির মতো ফুসফুসের অসুখ থাকলে কোভিড-১৯ এবং ডেঙ্গু জ্বরের জটিলতা বাড়তে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, শ্রীলঙ্কা, ভারত, পাকিস্তানসহ বাংলাদেশে প্রতি বছর প্রায় ৩৯০ মিলিয়ন বা ৩৯ কোটি মানুষ ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন। এদের মধ্যে ৯৬ মিলিয়নের অসুখ গুরুতর পর্যায়ে পৌঁছায়। দ্রুত চিকিৎসা না করলে রোগীকে বাঁচানো মুশকিল হয়ে ওঠে।

ডেঙ্গু ভাইরাসের চারটি সেরোটাইপ আছে। এদের মধ্যে ডিইএন-২, ডিইএন-৪ ভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক সমস্যা ডেকে আনে। অন্যদিকে কোভিড-১৯ ভাইরাসের আক্রমণের মূল লক্ষ্য শ্বাসনালি ও ফুসফুস। তাই এই সময় ক্রনিক ফুসফুসের অসুখের রোগীদের বাড়তি সাবধানতা নেয়া প্রয়োজন বলে জানান ভারতীয় পালমোনলজিস্ট সৌম্য দাস। প্রবল জ্বর, বমি, পেটে ব্যথা সঙ্গে র‍্যাশ, শ্বাসকষ্ট ও ঝিমিয়ে পড়া, এই ধরনের উপসর্গ দেখা গেলে কেউ দেরি করবেন না। অবিলম্বে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে ভর্তি করিয়ে চিকিৎসা শুরু করানো দরকার।

টেস্ট করাবেন কখন?  

কোনো অ্যান্টিভাইরাল দিয়েই কোভিড-১৯ বা ডেঙ্গুর মতো ভাইরাসদের দমিয়ে রাখা যায় না। উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা করে রোগীর কষ্ট কমানো হয়। জ্বর হলে ডায়রিয়ার মতোই শরীরে জলের অভাব দেখা দেয়। তাই বারবার পানি না খেলে ডিহাইড্রেশনের ঝুঁকি থাকে।

অন্যদিকে অ্যাজমা, ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডি অথবা ব্রঙ্কাইটিসের মতো ক্রনিক অসুখ থাকা রোগীর জ্বর হলে কষ্ট বেড়ে যায়। শ্বাসকষ্ট শুরু হতে পারে। ডা. সৌম্য জানান, ক্রনিক ফুসফুসের অসুখে যারা ভুগছেন তাদের জ্বর, গলা ব্যথা বা কাশি শুরু হলেই কোনো ঝুঁকি না নিয়ে কোভিড-১৯ পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার পরীক্ষাও করিয়ে নেয়া দরকার।

সর্দি কাশি, কাশির মধ্যে বুকে ব্যথা, কফ ওঠা এবং শ্বাসকষ্ট হলে অবশ্যই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা উচিত। অনেক সময় ডেঙ্গুর কারণে বুকে পানি জমে রোগীর অবস্থা খারাপ হতে পারে। এই সময়ে রোগীর শ্বাসপ্রশ্বাস নেয়ার ক্ষমতা কমে যায়। আর তখন যদি রোগীকে সাময়িকভাবে ভেন্টিলেটরে না রাখা হয় তবে বিপদের আশঙ্কা প্রতি পদে। সময়মতো ভেন্টিলেটরে দিলে রোগীকে সুস্থ করে তোলা যায়।

মিহামারির এই সময় ডেঙ্গু আর করোনার যুগলবন্দিতে রোগীর অবস্থা মারাত্মক পর্যায়ে পৌঁছতে পারে।চিকিৎসকদের পরামর্শ, সেই সুযোগ না দিয়ে আগে থেকেই সাবধান হতে হবে। বিনা প্রয়োজনে বাড়ির বাইরে যাবেন না। নাক-মুখ ঢেকে মাস্ক পরুন। হাত বারবার সাবান পানিতে ধুতে হবে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১