
রথযাত্রায় ‘না’। জেলায় জেলায় আইন অমান্যে অসহযোগিতা এবং সর্বশেষ বসিরহাটে পুলিশের লাঠিচার্জ। এই সবের প্রতিবাদেই এবার কলকাতায় আইন অমান্য আন্দোলনের ডাক দিল রাজ্য বিজেপি। ৩ জানুয়ারি দিন ঠিক হলেও কর্মসূচি কী হবে, সে বিষয়ে খোলসা করেনি তারা। বরং গোপন রাখাটাই তাদের ‘রণকৌশল’, বলছেন বিজেপি নেতারা।
রথযাত্রায় অনুমতি দেয়নি রাজ্য সরকার। চলছে আইনি লড়াই। তার মধ্যেই জেলায় জেলায় আইন অমান্য আন্দোলন শুরু করেছে বিজেপি। কিন্তু তাতেও পুলিশ-প্রশাসন অসহযোগিতা করছে এবং দমন পীড়নের পন্থা নিচ্ছে বলে অভিযোগ বিজেপির। সোমবারও বিজেপির আইন অমান্য ঘিরে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বসিরহাট।
বসিরহাটের ওই ঘটনার পর বিকেলেই কলকাতায় আইন অমান্য আন্দোলনের ঘোষণা করে বিজেপি। দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে,৩ জানুয়ারিদলের সদর কার্যলয় ৬ মুরলীধর লেনে জমায়েত হবে। কলকাতা-সহ সংলগ্ন জেলাগুলি থেকে কর্মী-সমর্থকরা আসবেন। তারপর মিছিল বার হবে। কিন্তু সেই মিছিল কোন দিকে যাবে, কোথায় গিয়ে শেষ হবে, সেসব নিয়ে দলের নেতারা কার্যত মুখে কুলুপ এঁটেছেন।
কেন?রাজ্য বিজেপি নেতারা বলছেন, কর্মসূচি নিয়ে পুলিশ প্রশাসন মহলে ধোঁয়াশা জিইয়ে রাখাই দলের কৌশল। তাঁদের যুক্তি, আগে থেকে জানিয়ে দিলে পুলিশ-প্রশাসন মিছিল করতেই দেবে না। তাই শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত কার্যত কোনও কিছুই পুলিশ প্রশাসনের কর্তাদের জানতে দেবেন না। শহরে একাধিক মিছিল হবে কি না, তা-ও স্পষ্ট করতে চাননি দলের নেতারা।
এই গোপনতার যুক্তি দিয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সায়ন্তন বসু। তিনি বলেন, ‘‘গণতন্ত্র বাঁচাও যাত্রার অনুমতি দেওয়া হয়নি। আইন অমান্য আন্দোলনে বাধা দেওয়া হচ্ছে। জেলার কোথাও কার্যত বিজেপির কোনও কর্মসূচিই করতে দেওয়া হচ্ছে না। অর্থাৎ পুলিশ-প্রশাসন আমাদের সঙ্গে সহযোগিতা করছে না। তা হলে আমরা কেন করব! আইন অমান্য যখন করব, তখন পুরোপুরিই করব।’’
মুরলীধর লেন সূ্ত্রে খবর, বসিরহাটের ঘটনার প্রক্ষিতে এদিন তড়িঘড়ি আলোচনায় বসেন বিজেপির নেতারা। রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের অনুমতি নিয়েই ৩ জানুয়ারি আইন অমান্য আন্দোলনের সিদ্ধান্ত হয়।
Array