
পৃথিবীর রূপ দেখায় একজোড়া মায়াময় চোখ। কিন্তু কিছু খারাপ অভ্যাসের কারণে চোখের স্বাস্থ্য সুস্থ থাকে না। ফলে হারিয়ে যায় দৃষ্টিশক্তি। তাই কোন অভ্যাসগুলো চোখে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে জানা জরুরি
ঘরে কিংবা বাইরে ধুলোবালি, ধোঁয়া ভীষণ ক্ষতি করে চোখের। তাই বাইরে থাকা অবস্থায় কিছুক্ষণ পরপর পানির ঝাপটা দিতে হবে এবং ঘরে এসে পানি দিয়ে চোখ ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিতে হবে। অনেকে অস্বস্তি কিংবা অযথাই চোখে ডলা দেয়। অতিরিক্ত ডলা দেওয়ায় অক্ষিগোলকের পেছনে থাকা রক্তনালী ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই অস্বস্তি লাগলে পানির ঝাপটা দেওয়া যেতে পারে।
রুম অন্ধকার করে টিভি দেখা অনেকেরই প্রিয়। কিন্তু টিভি থেকে আসা বিভিন্ন সময়ের আলোর সঙ্গে মানিয়ে নিতে চোখের ওপর চাপ পড়ে। এছাড়া অন্ধকারে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে ঘন্টার পর ঘন্টা তাকিয়ে থাকাও চোখে চাপ পড়ে। এর ফলে চোখ লাল হয়ে যাওয়া কিংবা চোখ ব্যথা হয়।
পরিমিত পানি না খাওয়ার অভ্যাস চোখের জন্য বেশ ক্ষতিকর। অথচ সংবেদনশীল চোখকে বাইরের ধুলোবালি থেকে পরিষ্কার রাখতে ও চোখের অসুখ থেকে দূরে রাখতে সাহায্য করে চোখে থাকা পানি। তাই চোখের পানি বজায় রাখতে শরীরে যথেষ্ট পরিমাণ পানি থাকা প্রয়োজন। এছাড়াও যথেষ্ট পরিমাণ পানি না খেলে ঘুমানোর সময় চোখের উপর প্রভাব পড়ে। আর পর্যাপ্ত ঘুম না হলে চোখ ব্যথা, ড্রাই আই, চোখ ঘোলা হওয়ার মতো ঘটনা হতে পারে। তাই নিয়মিত পানি পান করে অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
অনেকে একবার কম্পিউটারের ডেস্কে বসলে আর উঠতে চান না। কিন্তু একটানা কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়া, চোখে ছানি, শুকনো ভাব, জ্বালা পোড়া, মাথাব্যথা, ঘাড় ব্যথা ইত্যাদি সমস্যা হতে পারে। তাই প্রতি ২০ মিনিট পর পর অন্তত ২০ সেকেন্ডের জন্য কম্পিউটারের মনিটর থেকে চোখ সরিয়ে দূরে কোথাও তাকান বা চোখ বন্ধ করে রাখুন। যদি চোখ শুকনা লাগে ঘন ঘন পলক ফেলুন।
অতিরিক্ত ধূমপান চোখের জন্যও ক্ষতিকর। এর ফলে অপটিক নার্ভের ক্ষতি হয় এবং চোখে ছানি পড়ার প্রবণতা দেখা দেয়। এ জন্য চোখের স্বাস্থ্য রক্ষার্থে হলেও ধূমপান পরিত্যাগ করা দরকার।