
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আজ পশ্চিমবঙ্গে প্রথম দফা নির্বাচনি প্রচারে আসছেন। আর একই দিনে নিজের নির্বাচনি প্রচার শুরু করবেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ও তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা ব্যানার্জি। মোদি আজ প্রথম সভা করবেন শিলিগুড়িতে। আর মমতা তার নির্বাচনি প্রচারণা শুরুর জন্য স্থান হিসেবে বেছে নিয়েছেন কোচবিহারকে। মোদির সভা শেষ হলেই যাতে মমতার সভা শুরু হয়, সেভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছে তৃণমূল। কারণ মোদি যা বলবেন পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে দাঁড়িয়েই তার ‘যোগ্য’ জবাব দেওয়ার পরিকল্পনা মমতার। যার অর্থ, পশ্চিমবঙ্গে আজ ভারতের দুই শীর্ষ নেতার ‘কথার লড়াই’ হচ্ছে। রাজনৈতিক মহলের মতে, মোদির সভার ‘একতরফা’ প্রচার আটকাতেই মমতার এ সমান্তরাল ‘কৌশল’।
লোকসভা নির্বাচনের প্রথম পর্বের ভোট ১১ এপ্রিল। এদিন কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে ভোটগ্রহণ হবে। আগে পরিকল্পনা ছিলÑ বৃহস্পতিবার মমতা তার প্রচার-সফর শুরু করবেন। প্রথম সভা করবেন মাথাভাঙায়। পরদিন চলে যাবেন লাগোয়া রাজ্য আসামের ধুবুড়িতে। আবার ফিরে আসবেন পশ্চিমবঙ্গে। কিন্তু মোদির সফরসূচি চূড়ান্ত হওয়ার পর তৃণমূল নেত্রী তার সফরও এক দিন এগিয়ে নেন। মোদির সভা অবশ্য কোচবিহার বা আলিপুরদুয়ার কোনো কেন্দ্রের মধ্যেই হচ্ছে না। তিনি শিলিগুড়িতে সভা করে চলে আসবেন কলকাতার ব্রিগেডে। এখন পর্যন্ত মোদির যে সফরসূচি জানা যাচ্ছে, তাতে শিলিগুড়িতে স্থানীয় সময় দুপুর ১টায় সভার পর বিকাল ৩টায় ব্রিগেডে সভা হওয়ার কথা।
অন্যদিকে মমতা কলকাতা থেকে বাগডোগরা হয়ে দিনহাটা পৌঁছে স্থানীয় সময় বিকাল ৪টায় সভা করতে চান। তৃণমূল সূত্রে খবর, শিলিগুড়ি এবং ব্রিগেডে মোদি যা বলবেন, প্রকাশ্য সভামঞ্চে তৎক্ষণাৎ তার ‘জবাব’ দেবেন মমতা। তাই মুখ্যমন্ত্রীর সভার জন্য এভাবে সময় স্থির করা হচ্ছে। কয়েক দিন ধরে মমতা প্রকাশ্যে বিতর্কের আহ্বান জানাচ্ছেন মোদিকে। তিনি বলেছেন, যে কোনো মঞ্চ বা টিভি চ্যানেলে মোদির সঙ্গে সরাসরি বিতর্কে বসতে তিনি রাজি। যদি মমতার সঙ্গে মোদি সরাসরি বসতে না চান, তাহলে অন্য কোনো বিরোধী নেতার সঙ্গে এ বিতর্কের ব্যবস্থা করা যেতে পারে বলেও তৃণমূল নেত্রীর প্রস্তাব। তৃণমূলের এক নেতার কথায়, দলীয় নেত্রীর এ প্রস্তাব মোদি মানবেন নাÑ এটাই স্বাভাবিক।
তাই রাজ্যে নির্বাচনি প্রচারের সূচনাতেই মোদির বক্তৃতার তাৎক্ষণিক জবাব দেওয়ার রাজনৈতিক কৌশল নিচ্ছেন মমতা।