
উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উনের সঙ্গে ফের হাত মেলাতে চেয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। শনিবার এক টুইটে তিনি উত্তর ও দক্ষিণ কোরীয় সীমান্তের সুরক্ষিত অসামরিক এলাকায় কিমের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছেন।
জাপানে জি-টোয়েন্টি সম্মেলন শেষে দক্ষিণ কোরিয়া সফরেই তিনি উত্তরের শীর্ষ নেতাকে ‘হ্যালো বলতে’ চান টুইটে এমনই ইঙ্গিত ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্টের। ট্রাম্পের এ প্রস্তাবকে ‘খুবই অদ্ভুত’ অ্যাখ্যা দিয়েছে পিয়ংইয়ং। গেল বছরের জুনে ট্রাম্প ও কিম সিঙ্গাপুরে এক ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছিলেন। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে ভিয়েতনামের হ্যানয়ে দুইজনের মধ্যে ফের বৈঠক হলেও নিরস্ত্রীকরণ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার নিয়ে মতবিরোধে তা ভেস্তে যায়। পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ নিয়ে আলোচনা ফের শুরুর লক্ষ্যেই ট্রাম্পের এবারের দক্ষিণ কোরিয়া সফর, বলেন পর্যবেক্ষকরা। শনিবারই তার সিউল রওনা দেওয়ার কথা। টুইটের পর জি-টোয়েন্টি সম্মেলনেও ট্রাম্প কিমের সঙ্গে দেখা করার আগ্রহ নিয়ে বলেছেন।
‘যদি তিনি সেখানে থাকেন, আমাদের একে অপরের সঙ্গে মিনিট দুয়েক দেখা হলো, তাহলেই হবে,’ সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে বলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের ‘হাত মেলাবার’ আগ্রহের কয়েক ঘণ্টা পর প্রতিক্রিয়া দেখায় উত্তর কোরিয়াও। দেশটির পররাষ্ট্রবিষয়ক ফার্স্ট ভাইস মিনিস্টার চোয়ে সুন হুই এক বিবৃতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগ্রহকে ‘অদ্ভুত প্রস্তাব’ হিসেবে অ্যাখ্যা দেন। ‘আমরা একে খুবই অদ্ভুত প্রস্তাব হিসেবে বিবেচনা করছি, এখনও এ বিষয়ক কোনো আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব পাইনি আমরা,’ বলেন তিনি। ট্রাম্প-কিম শীর্ষ বৈঠক দুই নেতার ব্যক্তিগত সম্পর্ককে আরও গাঢ় করবে এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক এগিয়ে নেবে বলেও বিবৃতিতে আশাবাদ প্রকাশ করেন চোয়ে সুন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের দুই নেতার বৈঠকের বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। দুই দেশ তাদের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রাখবে বলেও প্রত্যাশা সিউলের। ২০১৭ সালের নভেম্বরে ট্রাম্প হুট করেই দুই কোরিয়ার সীমান্তে অবস্থিত ওই অসামরিক এলাকায় যেতে চেয়েছিলেন, যদিও খারাপ আবহাওয়ার কারণে তার ওই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা যায়নি।