চলতি সংসদের বিরোধী দলের নেতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের দ্বিতীয় নামাজে জানাজ সম্পন্ন হয়েছে। সোমবার সকাল পৌনে এগারটায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক এ রাষ্ট্রপতি ও সেনাপ্রধানের নামাজে জানাজায় অংশ নেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এছাড়াও তাঁর জানাজায় অংশ নেন জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট ফজলে রাব্বী মিয়া, চিফ হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরীসহ অন্যান্য সংসদ সদস্যরা। এর আগে সকাল দশটার কিছু সময় পরে এরশাদের মরদেহ জাতীয় সংসদ এলাকায় নিয়ে আসা হয়।
এ সময় সংসদ এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা ভিড় লেগে যায়। সংসদ এলাকায় তিন স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে কর্তৃপক্ষ।
গতকাল রোববার সকালে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এরশাদ। বেশ কিছুদিন ধরেই তিনি নানা রোগে ভুগছিলেন। গত বছরের শেষ ভাগে সিঙ্গাপুরে গিয়ে চিকিৎসা নেন এরশাদ। গত ২২ জুন গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় তাকে সিএমএইচের ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে রাখা হয়। অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়।
সেখানে ১০ দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকার পর তিনি মারা যান।
জানাজা শেষে তার মরদেহ জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে সাধারণ মানুষ , বিভিন্ন পেশা জীবি ও সাংস্কৃতিক এবং দলীয় নেতা কর্মী ফুল দিয়ে শদ্যা নিবেদন করে।
বাদ আসর জাতীয় মসজিদ বাইতুল মোকারমে তৃতীয় জানাজা শেষে তার মরদেহ সিএমএইচ’র হিমঘরে রাখা হবে। মঙ্গলবার রংপুরে নেওয়া হবে এরশাদের মরদেহ। সেখানে শেষ জানাযা শেষে এ দিন বিকেলে ঢাকার সামরিক গোরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। হুসেইন মহম্মদ এরশাদ ১৯৩০ সালের ১ ফেব্রুয়ারি রংপুর জেলার দিনহাটায় জন্মগ্রহণ করেন। একাদশ জাতীয় সংসদে তার দল জাতীয় পার্টি (জাপা) বিরোধী দল এবং তিনি বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন।
Array