
মো: মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া প্রতিনিধিঃ
কুতুবদিয়া উপজেলার রাজাখালী সড়কের বেহাল দশা,দেখার কেউ নেই। দক্ষিণ ধূরুং, লেমশীখালী, কৈয়ারবিল,৩ ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া প্রায় ৪ কিলোমিটারের দীর্ঘ সড়কটি ৭/৮ বছর আগে স্থানীয় সরকার বিভাগ ডাবল সলিং ইট দ্বারা কৈয়ারবিল ইউনিয়নের শেষ সীমান্ত ব্র্র্যাক সেন্টার থেকে দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের কুতুব শরীফ দরবার সড়ক পর্যন্ত সড়কটি নির্মাণ করেন। গত ২৭ জানুয়ারী দুপুরে সড়কটি সরজমিনে পরিদর্শনে গেলে সড়কটির বেহাল দশা চোখে পড়ে। গত ৭/৮ বছর ধরে সড়কটির কোন সংস্কার না হওয়ায় বর্তমানে সড়কটির সবগুলো ইট সরে গিয়ে খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার ছাত্র-ছাত্রী শাহাজীর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, লেমশীখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আল ফারুক দাখিল মাদ্রাসা, মালেকিয়া মাদ্রাসা ,টেকনিক্যাল কলেজ, ধুরুং আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, আইড়িয়াল হাই স্কুল, কুতুবদিয়া কলেজ, মহিলা কলেজ, কুতুবদিয়া আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়, বড়ঘোপ ফাজিল মাদ্রাসা, সরকারী বালিকা বিদ্যালয়সহ অসংখ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যাতায়ত করে থাকে। এছাড়াও প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন, বিভিন্ন পেশার ব্যাবসায়ীরা সড়কটি দিয়ে যাতায়ত করে থাকে। প্রতিদিন কেউ না কেউ সড়কটিতে দূর্ঘটনার স্বীকার হচ্ছে। সড়কের বড় বড় গর্তে পড়ে যানবাহন উল্টে দূর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্ত ব্যাপার। বর্তমানে সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। এ ব্যাপারে শাহাজীর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩য় শ্রেণী ছাত্র আজমীর জানায়, সড়কটির সবগুলো ইট সরে গিয়ে যাতায়ত করা যাচ্ছে না। বিভিন্ন সময় সড়কটিতে হুচট লেগে দূর্ঘটনার পতিত হচ্ছি। সড়কটি জরুরী সংস্কার করার প্রয়োজন, লেমশীখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ৯ম শ্রেণীর ছাত্রী সাইমা আকতার জানায়, সড়কটি দিয়ে আমাদের যাতায়াত করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে। সড়কটি আগামী বর্ষার আগে সংস্কার করার জন্য জোর দাবী জানাচ্ছি। কুতুবদিয়া কলেজের ১ম বর্ষের ছাত্রী ইপ্পাত জানায়, সড়কটি দীর্ঘদিন মেরামত না করায় সড়কের সবকটি ইট সরে গিয়ে খানা খন্দে পরিনত হয়েছে। সড়কটি বর্তমানে ব্যবহার অনুপযুগি হয়ে গেছে। যাতায়ত করতে খুব কষ্ট হয়। আমরা যারা বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করি সড়কটি উপর দিয়ে হেটে যেতে অনেক কষ্ট হয় পাশাপাশি অনেক সময়ও অপচয় হয়। আমরা অনেক সময় ঠিকমত ক্লাসে উপস্থিত হতে পারি না। সড়কটি দ্রুত সংস্কার করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সু-দৃষ্ঠি আকর্ষণ করছি। এ ব্যাপারে স্থানীয় ব্যবসায়াী আব্দু শুক্কুর জানায়, জনবহুল এলাকার এ সড়কটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সড়কটি বর্তমানে অকেজু হয়ে পড়ে আছে। প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন ও স্কুল কলেজের ছাত্র-ছাত্রী অনেক কষ্ঠ করে যাতায়ত করছে। সড়কটির এ বেহাল দশার কারণে, আমাদের ব্যাবসায়ীদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। ব্যবসার মালামাল পরিবহনে ব্যাপক সমস্যা সৃষ্ঠি হচ্ছে। সড়কটি অতিদ্রুত সংস্কার করে এ এলাকার ছাত্র-ছাত্রী, ব্যবসায়ী, জনসাধারণের দূর্ভোগ লাঘব করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের সু-দৃষ্ঠি কামনা করছি। এ ব্যাপারে লেমশীখালী ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাইতুল ইসলাম রাহাত জানায়, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের সংযোগ সড়ক রাজাখালী রোড় বহুল ব্যবহারিত। সড়কটি ৭/৮ বছর পূর্বে স্থানীয় সরকার বিভাগ ডাবল সলিং দ্বারা নির্মাণ করেন। ৭/৮ বছর ধরে সড়কটির কোন মেরামত না হওয়ায় বর্তমানে সড়কটির সবকটি ইট সরে গিয়ে খানাখন্দে পরিনত হয়েছে। প্রতিদিন একটা না একটা দূর্ঘটনা লেগেই আছে। বর্তমানে সড়কটি যেন মরণ ফাঁদে পরিনত হয়েছে। বিশেষ করে বর্ষাকালে সড়কটি প্রায় যাতায়ত অনুপযুগী হয়ে পড়ে। স্কুল, কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে যাতায়ত তরতে পারে না। তাদের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটি সংস্কার করে এ এলাকার শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ী, জনসাধারণের জনদূর্ভোগ লাঘব করার জন্য সরকারসহ সংশ্লিষ্ট সকলের সু-দৃষ্টি কামনা করছি। এ ব্যাপারে জাপা নেতা কামাল হোসেন জানায়, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার ৩য় বারেরমত সরকার গঠন করেছে। উন্নয়নের নেত্রী সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত করেছে। আগামী বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগে সড়কটি সংস্কার করে এ এলাকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রীসহ জনসাধারণনের দূভোর্গ লাঘব করার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের নিকট দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।