
মোঃ মনিরুল ইসলাম, কুতুবদিয়া
কক্সবাজার কুতুবদিয়া দ্বীপে দুইটি বড় বাজারের মধ্যে ১৫ জানুয়ারী রাত ২.৩০ মিনিটের সময় ধূরুং বাজারের পূর্ব পাশে টেম্পু ষ্টেশন (সিকদার মার্কেট) আগুন ধরে ১৮ দোকান পুড়ে ছাই এবং ১টি দোকানে আগুনের লিলা লেগে মালামাল ক্ষতি হয়। স্থানীয় ও দোকানদার সূত্রে আগুন লাগার সঠিক কোন কারণ জানাতে পারেননি। ক্ষতিগ্রস্থ
দোকানগুলো হলো- জেনারেটর ও ডেকারেশন আবুল কালামের দোকানে চেয়ার ৪০০টি, টেবিল- ২০টি, জেনারেটর মেশিন- ৪টি, ডাইনমা-১টি, মাইক-১০টি, ইউনিট ও অন্যান্য মালামালসহ ক্ষতির প্ররিমান প্রায় ১০ লক্ষ টাকা, ছোয়াদ ট্রের্ডাস, মেম্বার মোরশেদের তৈলের দোকানে ডিজেল, মুবিল, নগদ, মটরসাইকেলসহ ক্ষতি- ৫/৬ লক্ষ টাকা, তবে তার দোকানের লাইসেনও পুড়ে যায় গিয়াস উদ্দিনের পানের দোকান, নুরুল ইসলাম সওদাগরের মুদির দোকানে বিভিন্ন মালামাল নগদঅর্থসহ ১০ লক্ষ, স্বপনের চায়ের দোকান, জিয়াবুলের পানের দোকান সিবু সেলুনের দোকান, খোরশেদের ফ্রুটসের দোকান ক্ষতি প্রায় দুই-আড়াই লক্ষ, মাহিয়া টেলিকম বোরহানের দোকানে মোবাইল, বিকাশ, অন্যান্য মালামালসহ ক্ষতি প্রায় ৩ লক্ষ, আনচার উল্লাহর হোটেল দোকানে ফ্রিজ, চেয়ার, টেবিল, মাছ-মাংসসহ ২লক্ষ টাকা, টেম্পু লাইসম্যান অফিস, ইসমাইল মোবাইল চার্জের দোকান, এরশাদের পানের দোকান ফ্রিজসহ, রঞ্জিতের সেলুন দোকান, বেলালের চায়ের দোকান, কায়েমের চায়ের দোকন, মিলঘরে মিশিন ৫টি, চাক্ষি- ৪টি, অলার, আলফা, অন্যান্য মালামাল সহ প্রায় সাড়ে ৩-৪ লক্ষ, বেটারী আবুর দোকান মাইক, মেশিনসহ প্রায় ২ লক্ষ টাকা এবং আগুনের লিলা লাগার কারণে পাশের দোকানে বিভিন্ন মালামালের ব্যাপক ক্ষতি হয়।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে- গভীর রাতে ধূরুং বাজার আগুন লাগে স্থানীয় ও দোকানদারগণ অতি চেষ্টা করেও আগুন নেবাতে পারেননি। পরে মেশিন দিয়ে আগুন নেবার চেষ্টা করা হয়। আগুন নেবানোর র্দীঘ সময়ের মধ্যেও প্রসাশনিক কারো সহযোগিতা আসেনি। তবে ভোর সকালে স্থানীয় চেয়ারম্যান ছৈয়দ আহমদ চৌধূরী দেখতে যান বলে জানান। অন্যাদিন পুলিশ টহল থাকলেও ওইদিন তেমন দেখা মেলেনি। এতবড় একটি বাজারের বিপদে তৎক্ষনিক সরকারের নজর ও রাত থেকে সকাল ১০টা পর্যন্ত কোন সহযোগিতা না থাকায় দুঃখ্য প্রকাশ করেন।
স্থানীয় বোরহানের সাথে কথা হলে তিনি তার দোকানসহ ১৯টি দোকান রাত ২.৩০ মিনিটে আগুন লাগে এবং আগুনে ১৮টি দোকান পুড়ে ছাই এবং ১টি দোকানে ব্যাপক মালামাল ক্ষতি হওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
স্থানীয় মেম্বার মোরশেদের কাছে জানতে চাইলে তিনি ১৯টি দোকানে মালামাল, নগদ অর্থ ও দোকানঘর সহ প্রায় ২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে বলে জানান।
Array