• ঢাকা, বাংলাদেশ

উৎপাদন বাড়াতে বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র সম্প্রসারণের দায়িত্ব পাচ্ছে শেভরন 

 admin 
17th Sep 2022 11:07 am  |  অনলাইন সংস্করণ

নিউজ ডেস্ক:উৎপাদন বাড়াতে দেশের সবচেয়ে বড় বিবিয়ানা গ্যাসক্ষেত্র সম্প্রসারণের দায়িত্ব পাচ্ছে শেভরন। প্রতিষ্ঠানটি এদেশে দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে কাজ করছে। তাছাড়া শেভরন সবচেয়ে বেশি গ্যাস সরবরাহকারী কোম্পানিও। পেট্রোবাংলার সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর শেভরনকে বিবিয়ানা সম্প্রসারণের দায়িত্ব দেয়ার জন্য জ্বালানি বিভাগ অনুমোদন দিয়েছে। এখন অর্থ বিভাগের অনুমোদন পাওয়ার পর চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। আর আগামী বছরের প্রথম ভাগে নতুন এলাকায় কূপ খনন শুরু হবে। দেশে উৎপাদনরত গ্যাসক্ষেত্রগুলোর মধ্যে বিবিয়ানা সবচেয়ে বেশি গ্যাস উৎপাদন করছে। তাতে দৈনিক ১৩০ কোটি থেকে ১৪০ কোটি ঘনফুট গ্যাস উৎপাদিত হয়, যা দেশের বাকি সবগুলো গ্যাসক্ষেত্রে উৎপাদিত মোট গ্যাসের অর্ধেকের চেয়েও বেশি। ২০৩৭ সাল নাগাদ বিবিয়ানা পরিত্যক্ত হবে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। জ্বালানি বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, হবিগঞ্জে খনি এলাকায় বর্তমান চুক্তিবদ্ধ এলাকার বাইরে পার্শ্ববর্তী আরো ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা বর্তমান ইজারাদার বহুজাতিক কোম্পানি শেভরনকে বরাদ্দ দেয়া হবে। চলতি মাসেই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা পেট্রোবাংলার চুক্তি স্বাক্ষরের কথা রয়েছে। তারপর নতুন এলাকায় গ্যাস কূপ খননের জন্য শেভরন বাংলাদেশে নতুন করে বিনিয়োগ করবে। প্রাথমিকভাবে বিদ্যমান চুক্তিবদ্ধ এলাকায় বি২৭ ও বি২৮ নাম্বার কূপ এবং নতুন এলাকায় শেভরন বি২৯ কূপ খনন করবে।
সূত্র জানায়. দেশে এতোদিন খাড়াভাবে কূপ খনন করা হলেও এবারই প্রথম আড়াআড়িভাবে গভীর কূপ খনন করা হবে। নতুন এলাকায় কূপের গভীরতা ৮ হাজার মিটার এবং বিদ্যমান এলাকায় তা ৪ হাজার মিটার পর্যন্ত গভীর হতে পারে। আগামী ২০২৩ সালের মার্চের দিকে নতুন কূপ খনন শুরু হবে। যদিও এর আগেও শেভরন আড়াআড়িভাবে কূপ খননের অনুমোদন চেয়েছিল। কিন্তু সরকার অনুমোদন দেয়নি। কিন্তু বর্তমানে গ্যাসসংকট তীব্র হওয়ায় ওই অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আর আগের উৎপাদন অংশীদারিত্ব চুক্তির মতোই (পিএসসি) নতুন চুক্তি সই হবে। দেশে বর্তমানে দৈনিক ২৮০ থেকে ৩০০ কোটি ঘন ফুট গ্যাস উৎপাদিত হচ্ছে। তার মধ্যে আমদানিকৃত এলএনজি থেকে ৫৫ কোটি ঘনফুটেরও বেশি আসে। বর্তমানে চাহিদার চেয়ে গ্যাসের ঘাটতি ১০০ কোটি ঘনফুট ছাড়িয়ে গেছে।
সূত্র আরো জানায়, শেভরন ১১, ১২, ১৩ ও ১৪ নম্বর ব্লকে জরিপ পরিচালনা করছে। ১১ নম্বর ব্লকে গ্যাস পাওয়া গেলে বিশেষ আইনে তারও ইজারা চায় শেভরন। ওই ব্লকটি বর্তমানে সরকারি কোম্পানি বাপেক্সের আওতায় রয়েছে। আর ১২, ১৩ ও ১৪ ইতোমধ্যে শেভরনের অধীনে পরিচালিত হচ্ছে। মার্কিন কোম্পানি ইউনিকল বিগত ১৯৯৮ সালে সিলেটের হবিগঞ্জ জেলায় ১২ নম্বর ব্লকে দেশের অন্যতম বৃহৎ ওই গ্যাসক্ষেত্রটি আবিষ্কার করে। পরে ওই কোম্পানিটি বাংলাদেশে তাদের সম্পদ আরেক মার্কিন কোম্পানি শেভরনের কাছে বিক্রি ও হস্তান্তর করে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল আহসান জানান, বিবিয়ানায় চুক্তিবদ্ধ এলাকার বাইরে আরো ৬০ বর্গকিলোমিটার এলাকা শেভরনকে ইজারা দেয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। চলতি সেপ্টেম্বরেই এ-সংক্রান্ত চুক্তি সই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১