• ঢাকা, বাংলাদেশ

জাতীয় পার্টির দায় মুক্ত হওয়ার এটাই মুক্ষম সময়—–মিজানুর রহমান মিরু শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক জাতীয় পার্টি। 

 admin 
19th Oct 2022 2:35 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

নিজস্ব প্রতিনিধি: ১৯৯০ সালের ৬ই ডিসেম্বর শান্তিপূর্ণ এবং স্বেচ্ছায় পদত্যাগের মধ্য দিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু আলহাজ্ব হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আনুষ্ঠানিক ভাবে রাজনীতি শুরু করেছিলেন।১৯৯০ সাল থেকে পল্লীবন্ধু’র মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তাকে পতিত স্বৈরাচার বলে, তিরস্কার করে জনগণের নিকট হেয় করার অপচেষ্টা করা হয়েছিল,সেই লোকটি ১৯৯১ সালের নির্বাচনে জেল খানায় বসে পাঁচ পাঁচটি আসনে জয়লাভ করলেন, ১৯৯৬ সালের নির্বাচনেও জেলখানায় বসে আবারও পাঁচ পাঁচটি আসনে জয়লাভ করলেন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন নির্বাচনে পরাজিত না হয়ে প্রমান করেছেন তিনি একজন সাচ্চা রাজনীতিবিদ এবং জনপ্রিয় নেতা। তার মতো একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিকে বিতর্কিত করার জন্য ২০১৪ সালে জোর করে নির্বাচনে এনে আওয়ামী লীগের ভোট বিহীন নির্বাচন’কে বৈধতা দিলেন আমাদের ম্যাডাম বেগম রওশন এরশাদ। জাতি জানলো জাতীয় পার্টি বর্তমান সরকারের সাথে আঁতাত করে সকল সুযোগ সুবিধা ভোগ করছে। বর্তমান সরকারের দুঃশাসন, দূর্নীতি, দ্রব্য মূল্যের চরম উর্ধগতি কারণে নাকাল জনগণ জাতীয় পার্টিকেও দায় করছেন। জনগণ মনে করছেন জাতীয় পার্টি যদি ২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ গ্রহণ না করতেন তাহলে দেশের বর্তমান পরিস্থিতি সৃষ্টি হতো না। অর্থাৎ দায় শুধু আওয়ামী লীগের নয় এর দায় জাতীয় পার্টি কেও নিতে হবে। কিন্তু যাহারা নূন্যতম রাজনীতির সাথে জড়িত এবং সচেতন তাহারা ভালো করেই জানেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ তখন ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছিলেন। আর সেই ষড়যন্ত্র শুধু সরকারের পক্ষ থেকে নয়, ষড়যন্ত্র হয়েছিল খোদ জাতীয় পার্টির ঘরের ভেতর থেকে। ২০১৪ থেকে মৃত্যুর আগ পর্যন্ত যে কয়টা দিন, যে কয়টা মাস,যে কয়টা বছর অতিক্রম হয়েছে তা ছিল পল্লীবন্ধু’র জন্য নিদারুণ কষ্টের,মানষিক যন্ত্রণার। পল্লীবন্ধু’র মৃত্যুর পরে জাতীয় পার্টি কে কলঙ্ক মুক্ত করতে, বর্তমান সরকারের কবল থেকে জাতীয় পার্টি কে বের করে সাচ্চা বিরোধী দলের ভুমিকা পালন করতে, বর্তমান চেয়ারম্যান জনাব গোলাম মোহাম্মদ কাদের দিন রাত পরিশ্রম করে দলকে একটা পর্যায়ে নিয়ে এসেছেন। জনগণ যখন জাতীয় পার্টির প্রতি আস্থা রাখতে শুরু করেছে, জনগণ যখন জাতীয় পার্টির শাসন আমলে ফিরে যেতে চায়, পার্টির চেয়ারম্যান সরকারের বিরুদ্ধে তথ্য মুলুক বক্তব্য দিয়ে, দূর্নীতি,দুঃশাসনের বিরুদ্ধে কথা বলে জাতীয় পার্টিকে সুসংগঠিত করছে ঠিক তখনই আবার শকুনের চোখ পড়লো জাতীয় পার্টির দিকে। শকুনের দল এবারও ২০১৪ এবং ২০১৯ সালের মতো বেগম রওশন এরশাদের উপর ভর করে জাতীয় পার্টিকে কলঙ্কিত করতে চায়। ম্যাডাম বেগম রওশন এরশাদ বর্তমানে জাতীয় পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে রয়েছেন। তিনি দলে থেকে গঠনতন্ত্র বিরোধী এবং এখতিয়ার বহির্ভূত ভাবে যে কাউন্সিলের ডাক দিয়েছেন তাতে তিনি গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দলে থাকতে পারে না। যতদূর শুনেছি দল তাকে একটি আলটিমেটাম দিয়েছে। যদি তিনি এর মধ্যে সংশোধন না হয় তাহলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে । সেই ক্ষেত্রে জনাবা বেগম রওশন এরশাদ এবং তার অনুসারীরা আলাদা একটি পার্টি গঠন করবে। হতে পারে সেই পার্টির নামও হবে জাতীয় পার্টি (রওশন) ।
জাতীয় পার্টি ইতিমধ্যে পাঁচ ভাগে বিভক্ত। এখন সংখ্যা বেড়ে হবে ছয় ভাগ। এটা স্বাধীনতার আগে এবং পরে বাংলাদেশে কোন দলের জন্য একটি ইতিহাস। জিএম কাদের স্যারের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধী দল হিসেবে মাঠে থাকবে এবং রওশন এরশাদের নেতৃত্বে জাতীয় পাটি সরকারের দালালী করবে। এক্ষেত্রে সরকারের সাথে থেকে সরকারের দূর্নীতি, দুঃশাসন, নির্যাতন, নিপিড়ন, দ্রব্য মূল্যের উর্ধগতির কারনে মানুষ যে বিভীষিকাময় পরিস্থিতিতে রয়েছে তার যে দায় জাতীয় পার্টির উপর রয়েছে সেটা ম্যাডাম বেগম রওশন এরশাদ নিয়ে তিনি আওয়ামী লীগের সাথে থাকুক। দায়মুক্ত এবং দালাল মুক্ত হোক পল্লীবন্ধু’র আর্শীবাদ পুষ্ট জিএম কাদেরের নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি। জনগণের প্রত্যাশা পুরনে এগিয়ে যাক দুর্বার গতিতে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১