• ঢাকা, বাংলাদেশ

পরী মনিকে ধর্ষণের চেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ 

 admin 
27th Jun 2021 8:32 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

অভিনেত্রী পরী মনিকে ঢাকা বোট ক্লাবে ধর্ষণের চেষ্টার কোনো প্রমাণ পায়নি পুলিশ। রবিবার (২৭ জুন) সাভার মডেল থানায় গিয়ে পুলিশের কাছে বক্তব্য দেওয়ার পর মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এই তথ্য জানান।

ক্লাবের সিসিটিভি ফুটেজে পরী মনির বক্তব্য এবং গ্রেপ্তারকৃতদের বক্তব্য সবকিছু মিলিয়ে দেখছে পুলিশ। পুলিশের কাছে পাওয়া তথ্যমতে, হত্যা চেষ্টার ঘটনায় পরস্পরবিরোধী বক্তব্য এসেছে। ঢাকা বোট ক্লাবে পরী মনি আগে না নাসিরের উপর চড়াও হন। মদ নিতে বাধা দিলে উত্তেজিত হয়ে পরী মনি। পরে নাসির তাকে বের করে দিতে চেষ্টা করেন।

জানা যায়, এরইমধ্যে এ মামলায় রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে নাসির এবং অমিকে। ৫ দিনের রিমান্ড শেষে আজ রবিবার দুপুরে তাদেরকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। বোট ক্লাবে ওই রাতের ঘটনা সম্পর্কে নাসির এবং আমিকে পৃথকভাবে এবং যৌথভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ। তাদের দেওয়া বক্তব্যে মামলার অভিযোগে অসঙ্গতি পাওয়া গেছে। এসব তথ্য যাচাই করতে আজ দুপুরে পরীমনিকে ডাকা হয়েছে থানায়। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সাভার থানার পরিদর্শক কামাল হোসেন এবং অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহেল কাফী তার সঙ্গে কথা বলছেন।

ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে বুধবার (২৩ জুন) অভিনেত্রী পরী মনির করা মামলার আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন পাঁচ দিন করে রিমান্ড দেন আদালত। এর আগে মাদক মামলায় সাত দিনের রিমান্ড দেওয়া হয়েছিল নাসিরউদ্দিন মাহমুদ ও অমিকে আদালতে হাজির করা হয়।

এর আগে সোমবার (১৪ জুন) সাভার থানায় ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগ এনে ছয় জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন অভিনেত্রী পরী মনি।

মামলার পরপরই অভিযান চালিয়ে বিকেলে প্রধান আসামি নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও অমিসহ পাঁচ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেই সঙ্গে অমির বাসা থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা, বিদেশি মদ ও বিয়ার জব্দ করে ডিবি পুলিশ। পরে ডিবির গুলশান জোনের উপ-পরিদর্শক মানিক কুমার সিকদার বাদী হয়ে বিমানবন্দর থানায় তাদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে আরেকটি মামলা করেন।

১৫ জুন তাদের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নিভানা খায়ের জেসি। রিমান্ড শেষে এ মামলায় তাদের আদালতে হাজির করা হবে।

মামলার এজাহারে পরী মণি বলেন, গত ৮ জুন রাত সাড়ে ১১টার দিকে তার বনানীর বাসা থেকে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি (৩০), অমি (৪০) ও বনিসহ (২০) দুটি গাড়িযোগে উত্তরার উদ্দেশে রওনা হই। পথে অমি বেড়িবাঁধস্থ ঢাকা বোট ক্লাবে তার দুই মিনিটের কাজ আছে বলে জানায়। অমির কথামতো সবাই রাত আনুমানিক ১২টা ২০ মিনিটের দিকে ঢাকা বোট ক্লাবের সামনে গিয়ে গাড়ি দাঁড় করাই। কিন্তু বোট ক্লাব বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অমি কোনও এক ব্যক্তির সঙ্গে ফোনে কথা বলে। তখন ঢাকা বোট ক্লাবের সিকিউরিটি গার্ডরা গেট খুলে দেয়। পরে আমার ছোট বোন বনি প্রাকৃতিক ডাকে সাড়া দিতে বোট ক্লাবে প্রবেশ করে ও বারের কাছের টয়লেট ব্যবহার করি। টয়লেট হতে বের হতেই এক নম্বর বিবাদী নাসির উদ্দিন মাহমুদ আমাদের ডেকে বারের ভেতরে বসার অনুরোধ করেন এবং কফি খাওয়ার প্রস্তাব দেন। আমরা বিষয়টি এড়িয়ে যেতে চাইলে অমিসহ এক নম্বর আসামি মদপানের জন্য জোর করেন। আমি মদপান করতে না চাইলে এক নম্বর আসামি জোর করে আমার মুখে মদের বোতল প্রবেশ করিয়ে মদ খাওয়ানোর চেষ্টা করে। এতে আমার সামনের দাঁতে ও ঠোঁটে আঘাত পাই।

এজাহারে তিনি আরও বলেন, এক নম্বর আসামি (নাসির উদ্দিন মাহমুদ) আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং আমার শরীরের বিভিন্ন স্পর্শকাতর স্থানে স্পর্শ করে এবং আমাকে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টা করে। সে উত্তেজিত হয়ে টেবিলে থাকা গ্লাস ও মদের বোতল ভাঙচুর করে আমার গায়ে ছুড়ে মারে। তখন কস্টিউম ডিজাইনার জিমি নাসির মাহমুদকে বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর করে নীলাফোলা জখম করে।

পরী মণি বলেন, আমি প্রথমে জাতীয় জরুরি সেবা-৯৯৯ নম্বরে ফোন দিতে গেলে আমার ফোনটি টান মেরে ফেলে দেওয়া হয়। এ সময় দুই নম্বর আসামিসহ অজ্ঞাতনামা চার জন এক নম্বর আসামিকে ঘটনা ঘটাতে সহযোগিতা করে। আমি অজ্ঞাতনামা আসামিদের দেখলে শনাক্ত করতে পারবো।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১