• ঢাকা, বাংলাদেশ

মাদারীপুরে সাবেক সেনাসদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ 

 admin 
17th May 2020 12:42 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

মাদারীপুরে অবসরপ্রাপ্ত এক সেনাসদস্যকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। নিহত ব্যক্তির নাম মোস্তাফিজুর রহমান। তিনি রাজৈর উপজেলার বাজিতপুর এলাকার বাসিন্দা। গতকাল শনিবার দুপুরে মোস্তাফিজুরের নিজ বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন তাঁর স্বজনেরা।

অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যানের নাম সিরাজুল ইসলাম হাওলাদার। গত বছরের ৯ মে মোস্তাফিজুরের ছোট ভাই সোহেল হাওলাদার খুন হন। ওই হত্যা মামলার প্রধান আসামিও সিরাজুল ইসলাম। সাড়ে চার মাস কারাভোগ শেষে চলতি বছরের ৬ জানুয়ারি জামিনে বের হন তিনি। তবে মোস্তাফিজুর হত্যার ঘটনায় তিনি জড়িত নন বলে দাবি করেছেন।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয়দের দাবি, গতকাল দুপুরে বাজিতপুর এলাকার নিজ বাড়ির পাশে মুরগির খামারে কাজ করছিলেন মোস্তাফিজুর। তাঁকে একা পেয়ে কয়েকজন দুর্বৃত্ত ধাওয়া করেন। এ সময় মোস্তাফিজুর দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে তাঁকে মাটিতে ফেলে মারধর করেন দুর্বৃত্তরা। মোস্তাফিজুরের চিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যান। গুরতর আহত অবস্থায় মোস্তাফিজুরকে উদ্ধার করে মাদারীপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

মাদারীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক সাইফুল ইসলাম বলেন, নিহতের শরীরে তেমন কোনো আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন আসার পর মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।

নিহতের মেজ ভাই জুয়েল হাওলাদার অভিযোগ করেন, ‘আমরা ছয় ভাই। এক ভাই খুন হওয়ার এক বছর ৬ দিনের মাথায় শনিবার বড় ভাই খুন হলেন। চেয়ারম্যান সিরাজুল আমাদের সব ভাইকে একে একে মেরে ফেলে এলাকায় রাজত্ব করতে চায়। চেয়ারম্যানের নির্দেশেই তাঁর সন্ত্রাসী বাহিনী আমার ভাইকে একা পেয়ে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করে।’

শনিবার বিকেলে অভিযোগের বিষয় জানতে বাজিতপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম হাওলাদারের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হয়। তিনি দাবি করেন, ‘সকাল থেকে আমি ভিজিডির চাল বিতরণ করেছি। পরে বাজারে মাইকিং করেছি। দুপুরের দিকে শুনলাম মোস্তাফিজুর রহমানের স্ট্রোক করছে। স্থানীয় ডাক্তার দেখালে তাঁকে সদর হাসপাতালে নিয়ে যেতে বলে। পরে শুনি তিনি মারা গেছেন। অথচ এখন তাঁর ভাইয়েরা আমার নামে ষড়যন্ত্র করছেন।’

রাজৈর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার শওকত জাহান বলেন, চেয়ারম্যানের সঙ্গে নিহতের পরিবারের দীর্ঘদিনের বিরোধ। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। তবে এখনো নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করা হয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১