• ঢাকা, বাংলাদেশ

স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় প্রতীকেই 

 admin 
28th Feb 2021 12:27 pm  |  অনলাইন সংস্করণ

স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতীক না রাখার বিষয়ে বিভিন্ন ফোরামে আলোচনা চললেও এক্ষেত্রে মতৈক্যে আসতে পারেনি ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। তাই এবারো নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বহাল থাকছে। দলটির নেতারা বলছেন, নির্বাচনে প্রতীক তুলে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। সরকারের পক্ষ থেকেও বলা হচ্ছে, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে প্রতীক রাখা না রাখা রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। সে সিদ্ধান্তের আলোকে আইন পরিবর্তন করে দলীয় প্রতীক রাখা হয়েছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দ্বন্দ্ব্ব-সংঘাতের পরিপ্রেক্ষিতে দলীয় প্রতীকের বিষয়টি নতুন করে সামনে আসে। সংঘাতের জন্য অনেকে দলীয় প্রতীক রাখাকে দুষতে থাকেন। তাদের ভাষ্য, প্রতীক রাখার কারণেই ক্ষমতাসীন দলের তৃণমূলে গ্রুপ, সাব-গ্রুপ তৈরি হয়েছে। সংগঠনে চরম বিভাজন দেখা দিয়েছে। শোকজ, বহিষ্কারসহ নানা কঠিন সিদ্ধান্ত সত্ত্বেও বেড়ে গেছে বিদ্রোহী প্রার্থী।

এ পরিস্থিতিতে দলের অনেক নেতার অভিমত, দলীয় প্রতীক তুলে নিলে হয়তো কমবে বিভাজন। এছাড়া বিশিষ্টজনদের পক্ষ থেকেও স্থানীয় সরকার নির্বাচনে দলীয় প্রতীক না দেওয়ার কথা বলা হতে থাকে। প্রতীকের কারণে সংঘাত গ্রামে-পাড়া-মহল্লায় এমনকী পরিবারেও ঢুকে যাবে। ভেঙে যাবে সামাজিক শৃঙ্খলা, পারিবারিক ও সামাজিক বন্ধন। তবে সংশ্লিষ্ট মহলে আলাপ করে জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের নীতি নির্ধারণী ফোরাম ও সরকারে এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। প্রতীক তুলে দেওয়ারও উদ্যোগে নেই।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ বলেন, দলীয় প্রতীক তুলে নেওয়ার কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। গঠনতন্ত্র যখন সংশোধন হচ্ছিল, তখন সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেটি সেখানেই শেষ হয়ে গেছে। এটি নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনা আছে, দলের বিভিন্ন ফোরামেও আলোচনা আছে। কিন্তু কোনো মতৈক্য হয়নি বা সিদ্ধান্ত হয়নি। অতএব, আমরা আমাদের আগের সিদ্ধান্তেই (প্রতীক থাকছে) আছি। আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, এ বিষয়ে দলীয় ফোরামে আলোচনা হয়নি। যেহেতু আলোচনা হয়নি, আমরা ধরেই নিচ্ছি আগের সিদ্ধান্ত বহাল আছে।

প্রতীক নিয়ে গত ১১ ফেব্রুয়ারি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেছিলেন, আইন সংশোধন করার সুযোগ নেই। দরকারও নেই। যে আইন-বিধি আছে তা যথেষ্ট। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি নির্বাচনে দলীয় প্রতীকের বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ব্যাপার। এটি পরিবর্তনের কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেউ এ বিষয়ে ইঙ্গিতও দেয়নি। আমাদের পক্ষ থেকেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেই।

প্রসঙ্গত, ২০১৫ সালের নভেম্বরে ইউনিয়ন পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত পাঁচটি আইন সংশোধন করা হয়। এতে ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে এবং পৌরসভা ও সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিধান রাখা হয়। ওই সংশোধিত বিধি অনুসারে সম্প্রতি যেসব স্থানীয় সরকার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে, তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন অংশীজনরা। এমনকী ক্ষমতাসীন দলের কেউ কেউও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রতীক নিয়ে প্রশ্ন তুলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় সূত্র জানিয়েছে, বিদ্যমান আইনগুলো পর্যালোচনা করে আপডেট করার জন্য একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে। একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বাধীন ওই কমিটি কাজ করছে। এতে প্রস্তাবনা এলে আইনের সংশোধন হতে পারে। একই মন্ত্রণালয়ের আরেকটি সূত্র বলছে, স্থানীয় সরকার সংস্কার কমিশন গঠন করছে সরকার। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্মতি দিয়েছেন। এ কমিটি সরকারি আমলা, রাজনীতিক, বিশিষ্ট ব্যক্তি ও বিশেষজ্ঞদের সমন্বয়ে হবে। সেখানেও নানা প্রস্তাবের সঙ্গে প্রতীকের বিষয়টি এলে সংস্কার হতে পারে।

Array
We use all content from others website just for demo purpose. We suggest to remove all content after building your demo website. And Dont copy our content without our permission.
আমাদের ইউটিউব চ্যানেলে সাবস্ক্রাইব করুন
এই বিভাগের আরও খবর
 
Jugantor Logo
ফজর ৫:০৫
জোহর ১১:৪৬
আসর ৪:০৮
মাগরিব ৫:১১
ইশা ৬:২৬
সূর্যাস্ত: ৫:১১ সূর্যোদয় : ৬:২১