পাকিস্তানের খাইবার পাখতুনখুয়া প্রদেশের একটি নিরাপত্তা চৌকিতে সশস্ত্র জঙ্গি হামলার পরপরই পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা। এ ঘটনায় ৬ পুলিশ সদস্যসহ মোট ৯ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত আরও ৩০ জন।
সোমবার (২২ জুলাই) দেশটির প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে পাক বার্তা সংস্থা দ্য ডন প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।
খবরের তথ্য মতে, রোববার (২১ জুলাই) স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৪৫ মিনিটে প্রদেশটির উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় ডেরা ইসমাইল খান জেলার একটি পুলিশ চেকপোস্ট ও পার্শ্ববর্তী হাসপাতালে পৃথক দুইটি হামলা পরিচালনা করে জঙ্গিরা। যেখানে এই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে ডন জানায়, ঘটনার শুরুতে পুলিশের চেকপোস্টে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা সশস্ত্র হামলা চালায়। এরপর হতাহতদের পার্শ্ববর্তী একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আর এরপরেই ওই হাসপাতালে আত্মঘাতী বোমা হামলা চালায় জঙ্গিরা।
হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জেলা পুলিশের মুখপাত্র সালীম রিয়াজ বলেন, ‘রোবাবার আনুমানিক সকাল পৌনে আটটার দিকে চারটি মোটরসাইকেলে চেপে অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা কোটলা চেয়েডান পুলিশ চেকপোস্টে এসে অতর্কিতে গুলি ছুড়তে শুরু করে। এতে ঘটনাস্থলেই দুই পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়।’
পুলিশের এ মুখপাত্র আরও বলেন, ‘বন্দুক হামলায় হতাহতদের তাৎক্ষণিক উদ্ধার করে পাশের একটি হাসপাতালে নেয়া হয়। তখন সেখানেও জঙ্গিরা আত্মঘাতী বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এতে দ্বিতীয় হামলায় তিন বেসামরিকসহ দুই জন পুলিশ সদস্য প্রাণ হারান। এবারের হামলায় এখন পর্যন্ত সাতজন নিহত ছাড়াও আরও কমপক্ষে ২৪ জন আহত হয়েছেন।’
পুলিশ কর্মকর্তা সালীম রিয়াজ বলেন, ‘প্রাথমিক তদন্তে হামলাটি একটি পূর্বপরিকল্পিত বলে মনে হচ্ছে। তাছাড়া সম্ভবত একজন নারী হাসপাতালের বোমা বিস্ফোরণটি ঘটিয়েছিলেন। মর্মান্তিক এ হামলার দায় এখনো কেউ বা কোনো সংগঠন স্বীকার না করলেও এটি একটি জঙ্গি হামলা বলে ধারণা করা হচ্ছে।’
Array